এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে র্ফামকে বাচাঁতে ব্যাবহার করুন Bengal overseas Ltd এর Nobilis influenza H9N2 ভ্যাক্সিন

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ব্রীডার, লেয়ার, ব্রয়লার, সোনালী ও কক মুরগি  পালনকারীরা সবসময়ই একটা অজানা আতঙ্কে শঙ্কিত থাকেন, তা হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। বর্তমানে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার লো প্যাথজেনিক ভাইরাসটি নিয়েই সকলে অনেক আতঙ্কিত। এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করার জন্যই এগিয়ে এসেছে Bengal overseas Ltd.; তারা বিশ্বখ্যাত MSD Animal Health এর Nobilis influenza H9N2 ভ্যাক্সিন বাজারজাত শুরু করেছে।

Bengal overseas Ltd.-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব একেএম আলমগীর বলেন,  পোল্ট্রী শিল্প ও খামারীদের উক্ত LPAI(H9N2) এর প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দিতে এবং এরোগের বিরুদ্ধে উক্ত ভ‍্যাক্সিন (Nobilis Influenza H9N2) টির কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ায়  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক বেঙ্গল ওভারসিজ লিমিটেডকে Nobilis influenza H9N2 ভ্যাক্সিন নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানির অনুমতি প্রদান করে।

এই ভ্যাক্সিনের বিশেষত্ব সম্বন্ধে কোম্পানীর মার্কেটিং ম্যানেজার ডা: মো: ছাদেকুর রহমান বলেন, যেকোনো ফ্লকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই ভ্যাক্সিন। যার আকাঙ্খিত ডোজ মাত্র আড়াই ডোজ। জনাব ডা: ছাদেক বলেন উক্ত ভ্যাক্সিনটি বাজারজাতকরনের পূর্বে ইহা বাংলাদেশে Circulating H9N2 ভাইরাসের সাথে antigenic matching ও এর বিরুদ্ধে কার্যকারীতা যাচাইয়ের জন‍্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ  সরকারের  মৎস‍্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাংলাদেশ  প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI) সাভার-এর পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ ও কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার (CDIL) সমন্বয়ে সফলভাবে ভ্যাক্সিনটির ট্রায়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। ট্রায়াল প্রতিবেদনে জানা যায় আমদানিকৃত Nobilis influenza H9N2 ভ্যাক্সিনটি বর্তমানে  বাংলাদেশে Circulating H9N2 ভাইরাসের সাথে মিল (Antigenic matching) রয়েছে। এবং শতভাগ মুরগিতেই এ রোগের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত এন্টিবডি (Mean Log2 HI titer > ১০) তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদনে আরও প্রতীয়মান হয় যে,   লো প্যাথজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার থেকে খামারীদের সুরক্ষায় অত‍্যন্ত কার্যকর এই Nobilis influenza H9N2 ভ্যাক্সিন।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI) সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট অনুযায়ী মাত্র আড়াই ডোজ ব্যবহারে শতভাগ টাইটার নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান ডা: মো: ছাদেকুর রহমান। খামারীগন সুলভমুল্যে এবং নিশ্চিন্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন এবং দেশের প্রায় সকল জায়গাতেই এর সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Related posts

Leave a Comment

CAPTCHA ImageChange Image