করোনা পরিস্থিতিতে এনএটিপি-২ (প্রানিসম্পদ) কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করলো জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাভাবিকভাবে দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে চলমান ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল এন্ড টেকনোলজি প্রোগ্রাম -২ (প্রাণিসম্পদ অঙ্গ) এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার ( ৯ জুলাই ২০২০ ইং) সংস্থাটির বাংলাদেশ অফিস থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তা থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচালার ডেভোলপমেন্ট (আই এফ আই ডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে দেশের ডেইরী খামারীদের সহযোগিতা করে চলেছে। যেখানে খামারীরা নিয়মিতভাবে গবাদি প্রানির ভ্যাকসিনেশন, নিঊট্রিশন এবং…

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ ॥ উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় একটি খাত

প্রাণিসম্পদ প্রাণিজ আমিষ যোগানের একটা গুরুত্বপূর্ণ খাত। প্রাণিজ উৎস থেকে সরবরাহকৃত আমিষের পরিমাণ প্রায় ৬৫ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে এবং ৫০ শতাংশ পরোক্ষভাবে এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন কৃষির উন্নতি ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা তখন দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কুমিল্লায় এক বিশাল জনসভায় বলেছিলেন ‘…আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে, যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাল্লাহ, এদিন আমাদের…

ধ্বংসের হাত থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচান।

২০২১ সালের মধ্যে বছরে ১২০০ কোটি ডিম ও ১০০ কোটি ব্রয়লার উৎপাদন এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি করা সম্ভাব, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তের দাঁড়িয়ে আমাদের পোল্ট্রি শিল্প। দেশীয় পুঁজি এবং দেশীয় উদ্যোগে তিলে তিলে গড়ে উঠা এই শিল্পটি দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। পোল্ট্রি ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখি একটি শিল্প এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির নতুন বিপ্লবের পথ দেখিয়েছে। শুধুমাত্র চাকরি নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যুব সমাজ ছোট ও মাঝারী পুঁজি নিয়ে অর্থকরী শিল্পে পরিণত করেছে পোল্ট্রি শিল্পকে। ব্যাপারটিকে হাল্কা করে দেখার মোটেই অবকাশ নেই। পোল্ট্রি শিল্পের কল্যাণে অনেক বেকার যুবক…

দেশি মুরগির স্বাদ’ নিয়ে আসছে নতুন জাতের মুরগি

বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) নতুন একটি জাতের মুরগি উদ্ভাবন করেছে, যার মাংসের স্বাদ দেশি মুরগির মতো বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার (27-06-2020) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মুরগি দেখতে অবিকল দেশি মুরগির মতো। রোগবালাই কম হয় বলে এই জাতের মুরগি পালনে ওষুধের ব্যবহার অনেক কম। “এর মাংস অনেক বেশি সুস্বাদু ও নিরাপদ।” ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে’ এই জাতের মুরগি বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মুরগি বাজারে আনার লক্ষ্যে আফতাব হ্যাচারি লিমিটেড এবং বিএলআরআইয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত…

পোল্ট্রি খামারে জৈব নিরাপত্তা

কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ : শীতের আগেই হাঁস-মুরগি, কবুতর ও কোয়েলের খামারগুলোতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। কারণ বার্ড ফ্লু, রানীক্ষেত ও গামবোরো রোগের ভাইরাস কম তাপমাত্রায় অর্থাৎ শীতের আগে, শীতের সময় ও শীতের পরপরই সক্রিয় হয়ে মুরগিতে আক্রমণ করে। এজন্য হাঁস-মুরগির খামারগুলোতে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোন ভাবেই জীবাণু খামারে ঢুকতে না পারে এবং মুরগিতে সংক্রমিত না হয়। খামারে ভাইরাস জীবাণু সংক্রমিত হলে মুরগির মৃত্যু নিশ্চিত। তাই প্রতিরোধকমূলক অর্থাৎ জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাই পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়। খামারে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য সরকার, খামারের মালিক, কর্মকর্তা,…