World Egg Day-2020 উপলক্ষ্যে দি ভেট এক্সিকিউটিভ ডিমের পুষ্টিগুণ, মানুষের শারিরীক,মানসিক এবং রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে ডিমের ভূমিকা, উৎপাদন, নিরাপদ খাদ্য, খামার ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ ব্যবস্থা সর্বোপরি জন সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে অনলাইনে নানা রকম প্রমোশনাল ভিডিও, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাত ৮.৩০ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, প্যাথলজি বিভাগ, বাকৃবি। ডা. মোঃ ফরহাদ হোসেন, পরিচালক, লাইভষ্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ( L.R.I), ঢাকা। ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, মহাসচিব, বিভিএ, ডা. বিশ্বজিৎ রায়, সভাপতি, দি ভেট এক্সিকিউটিভ। সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. সাইফুল বাসার, সাধারণ সম্পাদক, দি ভেট এক্সিকিউটিভ।
আলোচনা সবায় প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী ডিমের পুষ্টিগুণ এবং মানুষের জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা এবং ডিম সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তি নিরসনে অত্যন্ত সহজ ভাষায় নানা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি সুস্থ থাকার জন্যে সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একটা ডিম খাওয়ার আহবান জানান।
লাইভষ্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ডা. ফরহাদ হোসেন খামারীদের জন্যে সরকারের নানা নীতি সহায়তা এবং ডিমকে একটা সম্পূর্ণ নিরাপদ খাদ্য হিসেবে অভিহিত করেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খামারীদের স্বার্থ রক্ষায় নানা উদ্যোগের উল্লেখ করে ভবিষ্যতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিভিএ মহাসচিব ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা ডিম নিয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার আহবান জানান। বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা এবং সহজলভ্য এই প্রোটিন সোর্সকে প্রতিটি মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ করার আহবান জানান তিনি। এছাড়াও সারা বাংলাদেশের ভেটেরিনারিয়ানরা যে নিরলস পরিশ্রম করে খামারীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে সেজন্যে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন হলে খামারীরা আরো বেশী সেবা পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর সভাপতি ডা. বিশ্বজিৎ রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের ডিম খাওয়ার হার এখনো অনেক কম বলে আলোচনা সভায় তা তুলে ধরেন। আমরা এখন FAO এর গাইড লাইন অনুযায়ী একজন মানুষের বছরে নূন্যতম ১০৪ টি ডিম খাওয়ার লক্ষ্য অর্জন করলেও, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন নিকট ভবিষ্যতে সেটাকে কমপক্ষে ২০০ ডিমে উন্নীত করতে হবে।
অনুষ্টান সঞ্চালনায় থাকা দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুল বাসার জানান, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার কোটি থেকে পৌনে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদিত হচ্ছে। এর জন্যে এর সংগে সংশ্লিষ্ট খামারীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। নানা রকম চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি মোকাবেলা করেই প্রান্তিক লেভেলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারীরা আমাদের এই মাঝে এই প্রোটিন সোর্সের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি খামারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন স্বল্প সুদে ঋণ, প্রনোদনা, খামার রেজিষ্ট্রেশন সহজীকরন এবং টেকসই বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্টানেরর শেষে লাইভ প্রোগ্রামের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ছয়জন সেরা কমেন্টস/প্রশ্নকারীকে দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর পক্ষ থেকে ডিম দিবসের স্পেশাল গিফট হিসেবে প্রত্যেককে ১০০ করে ডিম পুরষ্কার হিসেবে দেয়ার ঘোষণা দেন দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুল বাসার।
পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেনঃ ডা. তুষার চৌধুরী, শাকিল আহমেদ, সাজমুল হাসান, আবদুল্লাহ আল মামুন, তরুণ তৌফিক এবং রিতু বিশ্বাস।