মানুষ যে মাটিতে পা ফসকে পড়ে যায় সে মাটিতে ভর করে উঠতে হয়। এজন্য তার হাত পা ছেড়ে বসে থাকলে জীবনেও উঠে দাঁড়াতে পারবো না। নিজের মনবল বাহুবল। সারা পৃথিবীতে আজ যেভাবে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে মানুষের গোটা কর্মকান্ডকে থেমে দিয়েছে, এটাকে ভয় পেলে চলবেনা। ভয় পেতে হবে এটার মালিক মহান আল্লাহকে। তাঁর ওপর ভরসা রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
আমরা জানি বর্তমানে এই প্রেক্ষপটে বেশী ক্ষতি হয়েছে যুব সমাজের। যেমন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরী হারানো। স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী যুবকেরা আজ দিশেহারা হয়ে গেছে। তবুও বলবো আমাদের ভেঙ্গে পরলে চলবে না। মহান আল্লাহ তা’আলা বলছেন, “যে জাতি তার ভাগ্যোর পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করে না আমি তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসিনা। ” তাই যুব সমাজকে বলবো হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। মহান আল্লাহ আমাদের চারটা হাত-পা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমাদের সুকর্মের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে আনতে পারবো মোরা, ইনশা..আল্লাহ… ।
জাতির এই ক্লান্তি লগ্নে আমাদের যতটুকু আছে ক্ষেত, খামার, বাড়ির আঙ্গিনায় কৃষিজাত উৎপাদন হাঁস, মুরগী, মৎষ চাষের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। এতে পুঁজির বেশী প্রয়োজন হয় না এবং দীর্ঘ সময় পুঁজি আটকে থাকেনা। প্রয়োজন একটু নিজের পরিশ্রম দেওয়া। তাই আমাদের দেরী করলে চলবেনা। আমাদের ঝাপিয়ে পড়তে হবে আরেকটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলছি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পরতে হবে জাতির এই চরম দুঃসময়, তবেই না আমরা সোনার বাংলা খুঁজে পাব! আমাদের চরম লগ্নে এটাই শপথ হোক প্রতিটি যুবকের একটি খামার থাকবে। আর যেন কোন দুর্যোগ মুহূর্তে আমাদের হতাশায় দিন কাটাতে না হয়।
তবে আমাদের চিন্তার কোন অবকাশ নেই। আমরা যদি অল্প পুঁজি ও কঠিন পরিশ্রম দিতে পারি আমাদের ডাক্তারি পরামর্শ ও খামার পরিচালনা করার বুদ্ধি দেওয়ার জন্য আমাদের পাশে সব সময় আছে ফ্রি সেবা দেওয়ার জন্য, কৃষি শিল্পের সেতু বন্ধন, এগ্রো বার্তার বিরামহীন সেবকবৃন্দ বিনা অর্থে জাতির কল্যাণ করে নিরলস পরিশম করে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক ‘পাওয়া’।
তাই আসুন এই সুপরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে আমাদের দু’হাতের কঠিন পরিশ্রমে, গায়ের নোনা ঘাম মাটিতে ফেলে সোনালী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জাতির চরম লগ্নে করোনার সময়ে ফেলে আসা দিনগুলি পুরণ করব। মহান আল্লাহ আমাদের শক্তি দান করুন।